কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের অবস্থান,দর্শনীয় স্থান,কীভাবে যাবেন,কোথায় থাকবেন,খাবার সুবিধা,ভ্রমণ খরচ Kuakata beach location, sights, how to get there, where to stay, dining facilities, travel expenses

 কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের অবস্থান পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া থানার লতাচাপলি ইউনিয়নে। প্রায় ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত (Kuakata Sea Beach) থেকে একই সাথে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত দেখা যায়। এই বৈশিষ্ট কুয়াকাটাকে সকল সমুদ্র সৈকত থেকে অনন্য করেছে। সূর্যোদয় সবচেয়ে ভাল দেখা যায় সৈকতের পূর্ব প্রান্তের গঙ্গামতির বাঁক থেকে। আর সূর্যাস্ত দেখার ভাল জায়গা হচ্ছে কুয়াকাটার পশ্চিম সৈকত। সৈকতের এক পাশে বিশাল সমুদ্র আর অন্য পাশে আছে নারিকেল গাছের সারি। কুয়াকাটার পরিচ্ছন্ন বেলাভূমি, অনিন্দ্য সুন্দর সমুদ্র সৈকত, দিগন্তজোড়া সুনীল আকাশ এবং ম্যানগ্রুভ বন কুয়াকাটাকে দিয়েছে ভিন্ন মাত্রা।



প্রায় সারা বছর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য দেখা যায়। সৈকতে চাইলে মটর সাইকেল ও ঘোড়া ভাড়া করতে পারেন। ভাড়ার টাকার পরিমাণ সাধারণত দূরত্ব ও সময়ের উপর নির্ভর করে। এছাড়া কুয়াকাটার কাছেই কয়েকটি চর রয়েছে। সেগুলিতে যেতে স্পিডবোট, ট্রলার ও ইঞ্জিন চালিত বড় নৌকা পাওয়া যায়। এছাড়াও কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের কাছেই রয়েছে পিকনিক করার সমস্ত আয়োজন।

কুয়াকাটার দর্শনীয় স্থান
শুঁটকি পল্লী: জেলে পল্লীর অবস্থান কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের পশ্চিম প্রান্তে। এখানে মূলত নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত শুঁটকি তৈরির মৌসুম চলে। সমুদ্র থেকে মাছ ধরে সৈকতের পাশেই শুকিয়ে শুঁটকি তৈরি করা হয়। চাইলে জেলেদের এই কর্মব্যস্ততা দেখে সময় কাটাতে পারেন। আর কম দামে কিনে নিতে পারেন বিভিন্ন ধরণের পছন্দের শুঁটকি।

ক্রাব আইল্যান্ড: কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত ধরে পূর্ব দিকে অনেকটা দূর পর্যন্ত এগিয়ে গেলে ক্রাব আইল্যান্ড বা কাঁকড়ার দ্বীপ খ্যাত জায়গা চোখে পড়ে। এখানে নির্জন সৈকতে ঘুরে বেড়ায় হাজার হাজার লাল কাঁকড়ার দল। ভ্রমণ মৌসুমের সময় অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত কুয়াকাট সমুদ্র সৈকত থেকে ক্রাব আইল্যান্ডে যাবার স্পিড বোটে পাওয়া যায়।

গঙ্গামতির জঙ্গল: পূর্ব দিকে গঙ্গামতির খাল পর্যন্ত এসে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত শেষ হয়েছে। আর এই জায়গা থেকেই গঙ্গামতির জঙ্গল শুরু। বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা ছাড়াও এই জঙ্গলে দেখা মিলে বিভিন্ন রকম পাখি, বন মোরগ-মুরগি, বানর ইত্যাদি পশুপাখির। অনেকের কাছে এই জঙ্গল গজমতির জঙ্গল হিসাবে পরিচিত।

ফাতরার বন: সমুদ্র সৈকতের পশ্চিম দিকে অবস্থিত নদীর অন্য পাড় থেকে ফাতরার বন শুরু। এ বনের রয়েছে সুন্দরবনের প্রায় সকল বৈশিষ্ট। এখানে বন মোরগ, বানর, বুনো শুকর ও নানান পাখি পাওয়া যায়। কুয়াকাটা থেকে ফাতরার বনে যেতে হলে আপনাকে ইঞ্জিন নৌকা ভাড়া করতে হবে।

কুয়াকাটার কুয়া: কুয়াকাটা নামকরণের পেছনে যে ইতিহাস আছে সেই ইতিহাসের সাক্ষী কুয়াটি এখনও আছে। এই কুয়াটি দেখতে হলে আপনাকে যেতে হবে রাখাইনদের বাসস্থল কেরাণিপাড়ায়। এপাড়ায় প্রবেশ করতেই প্রাচীন এ কুয়া দেখতে পাবেন।

কথিত আছে ১৭৮৪ সালে মাতৃভূমি থেকে বিতাড়িত হয়ে রাখাইনরা বঙ্গোপসাগরের তীরে রাঙ্গাবালি দ্বীপে এসে আশ্রয় নেয়। সাগরের লোনা জল ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় তারা এখানে মিষ্টি পানির জন্য কূপ খনন করে সে ঠেকে জায়গাটি ধীরে ধীরে কুয়াকাটা নামে পরিচিত হয়ে উঠে।

সীমা বৌদ্ধ মন্দির: কুয়াকাটার প্রাচীন কুয়ার একটু সামনেই সীমা বৌদ্ধ মন্দিরের অবস্থান। কয়েক বছর আগে কাঠের তৈরি এই মন্দির ভেঙে দালান তৈরি করা হয়েছে। এই মন্দিরের মধ্যে রয়েছে প্রায় ৩৭ মন ওজনের অষ্টধাতুর তৈরি একটি প্রাচীন বৌদ্ধ মূর্তি।

কেরানিপাড়া: সীমা বৌদ্ধ মন্দিরের রাস্তা ধরে একটু এগিয়ে গেলেই রাখাইনদের আবাসস্থল কেরানিপাড়া। রাখাইন নারীরা কাপড় বুণনে বেশ দক্ষ এবং তাদের তৈরি শীতের চাদর অনেক আকর্ষণীয়।

মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধ মন্দির: কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে রাখাইনদের আরেকটি গ্রাম মিশ্রিপাড়ায় বড় একটি বৌদ্ধ মন্দির আছে। জনশ্রুতি আছে এ মন্দিরের ভেতরে উপমাহাদেশের সবচেয়ে বড় বৌদ্ধ মূর্তি রয়েছে।

কীভাবে যাবেন
নদী ও সড়ক পথে ঢাকা থেকে কুয়াকাটা যাওয়া যায়। লঞ্চে ঢাকা সদরঘাট থেকে পটুয়াখালী বা বরিশাল হয়ে কুয়াকাটা। আর বাসে যেতে চাইলে ঢাকা থেকে বরিশাল হয়ে কুয়াকাটা। তবে সবচেয়ে সহজ ও আরামের কথা বিবেচনা করলে কুয়াকাটা যেতে নদী পথই উত্তম। ঢাকার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে লঞ্চে করে পটুয়াখালীতে গিয়ে সেখান থেকে বাসে করে কুয়াকাটা যাওয়া যায়। অথবা লঞ্চে সদরঘাট থেকে বরিশাল গিয়ে সেখান থেকে বাসে কুয়াকাটা যেতে পারবেন।

ঢাকা থেকে লঞ্চে পটুয়াখালী হয়ে কুয়াকাটা
সদরঘাট থেকে বিকেলের পর সুন্দরবন-৯, কুয়াকাটা-১, এম ভি প্রিন্স আওলাদ-৭, কাজল-৭, সুন্দরবন-১১, এম ভি এ আর খান-১ প্রভৃতি লঞ্চ পটুয়াখালীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এসব লঞ্চে প্রথম শ্রেণীর সিঙ্গেল কেবিন ভাড়া করতে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত লাগে, ডাবল কেবিন ভাড়া ১৮০০ থেকে ৩৫০০ টাকা আর ডেকের ভাড়া ২০০-৩০০ টাকা। লঞ্চ গুলো পটুয়াখালীর বিভিন্ন টার্মিনালে যায়। আমতলী ঘাট বা পটুয়াখালী লঞ্চ ঘাট যায় এমন লঞ্চে গেলে সুবিধা। পটুয়াখালী লঞ্চ ঘাট থেকে অটোতে বাস স্ট্যান্ড গিয়ে বাসে যেতে হবে কুয়াকাটা। সময় লাগবে ২ঘন্টার মত, ভাড়া ১৩০-১৫০ টাকা। অথবা আমতলী ঘাঁটে নেমে বাসস্ট্যান্ড থেকে ৫০-৭০টাকা ভাড়ায় কুয়াকাটা যাওয়া যাবে।

ঢাকা থেকে লঞ্চে বরিশাল হয়ে কুয়াকাটা
সদরঘাট থেকে সন্ধ্যার পর বরিশালের উদ্দেশ্যে একাধিক লঞ্চ ছেড়ে যায়। সকালে বরিশাল পৌঁছায়। লঞ্চের ডেকে ভাড়া জনপ্রতি ১৫০-২০০ টাকা। লঞ্চে প্রথম শ্রেণীর সিঙ্গেল ও ডাবল কেবিন শ্রেনী ভেদে ৭০০ থেকে ৩,৫০০ টাকা পর্যন্ত লাগে। বরশাল লঞ্চঘাট থেকে রূপাতলি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে কুয়াকাটা যাবার কোন বাসে উঠে যেতে হবে। সময় লাগবে ৩ ঘন্টার মত। ভাড়া ১৮০-২৫০ টাকা। এছাড়া রেন্ট এ কার এ করেও বরিশাল থেকে কুয়াকাটা যেতে পারবেন।

বাসে ঢাকা থেকে কুয়াকাটা
ঢাকার গাবতলী বাস স্ট্যান্ড থেকে সাকুরা পরিবহন, দ্রুতি পরিবহন, সুরভী পরিবহনের বাস করে কুয়াকাটা যাওয়া যায়। নন-এসি বাসের জনপ্রতি ভাড়া ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা এবং এসি বাসে ভাড়া ১০০০ টাকা। এছাড়াও প্রতিদিন সকাল ও রাতে কমলাপুর বিআরটিসি বাস ডিপো থেকে কুয়াকাটার উদ্দেশ্যে বাস ছেড়ে যায়।

কুয়াকাটা কোথায় থাকবেন
পর্যটকদের থাকার জন্য কুয়াকাটায় বিভিন্ন মানের আবাসিক হোটেল আছে। মান ও শ্রেনী অনুযায়ী এসব হোটেলে ৪০০-৫,০০০ টাকায় থাকতে পারবেন। হোটেল রুম ভাড়া কমাতে কয়েকজন মিলে শেয়ার করে থাকলে খরচ কম হবে। সিজন ও সরকারি ছুটির দিন ছাড়া গেলে আগে থেকে হোটেল বুক করার প্রয়োজন পরে না। আর অবশ্যই দামাদামি করে নিবেন। কুয়ায়াটার হোটেল গুলোর মধ্যেঃ

ইয়ুথ ইন হোটেল : পর্যটন করপোরেশনের এই হোটেলে ১৫০০ থেকে ৫০০০ টাকায় বিভিন্ন মানের কক্ষ ভাড়া নেওয়া যায়, ফোন: 04428-56207।
হলিডে হোমস হোটেল : পর্যটন করপোরেশনের এই হোটেলে ৮০০ থেকে ২০০০ টাকায় বিভিন্ন কক্ষ পাওয়া যায়। ফোন: 04428-56004।

পর্যটন কর্পোরেশনের এই দুটি হোটেলেরই ঢাকায় পর্যটনের প্রধান কার্যালয় থেকে বুকিং দেওয়া যায়। যোগাযোগ: 02-8811109, 02-989288।

হোটেল গ্রেভার ইন : বেশ কিছু সুযোগ সুবিধা সহ এই হোটেল বিভিন্ন মান অনুযায়ী রুম ভাড়া ৩০০০-৫০০০ টাকা। যোগাযোগ: 01833-318380।
সি ভিউ হোটেল : রুম ভাড়া ৮০০-২০০০ টাকা।
বীচ হ্যাভেন রিসোর্ট : এসি ও নন এসি সিঙ্গেল রুম ভাড়া ৬০০-১০০০ টাকা।
সী গার্ল : রুম ভাড়া ১২০০-২০০০ টাকা।

এছাড়া কুয়াকাটায় হোটেলের মধ্যে হোটেল বনানী প্যালেস, হোটেল কুয়াকাট ইন, হোটেল নীলাঞ্জনা, হোটেল গোল্ডেন প্যালেস ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

খাবার সুবিধা
কুয়াকাটায় হোটেলগুলো নিজস্ব রেস্টুরেন্টে তাদের অতিথিদের খাবারের জন্য ব্যবস্থা করে। এছাড়া এখানকার স্থানীয় রেস্টুরেন্টেও বিভিন্ন রকম দেশী খাবার পাওয়া যায়।

কম খরচে কুয়াকাটা ট্যুর প্ল্যান
খরচ কেমন হবে তা নির্ভর করে আপনি কখন যাবেন, কিভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন, কি খাবেন ও কি দেখবেন তার উপর। যাতায়াত খরচ ছাড়া সাধারণত অফ সিজনে বা সরকারি ছুটির দিন ছাড়া গেলে তুলনামূলক কম খরচে হোটেলে থাকা ও মোটরসাইকেলে ঘুরা যাবে। আপনাকে ধারণা দেবার জন্যেই দিনের একটা খরচ ও ট্যুর প্ল্যান দেওয়া হলো। খরচ এমনই হবে তা কিন্তু নয়। শুধু মাত্র একটা ধারণা পাবেন এই থেকে।

কুয়াকাটা ট্যুর প্ল্যান
প্রথম দিন হোটেলে চেক ইন করে দুপুরের সময়টুকু বীচে কাটান। বিকেলের সময়টুকুর জন্যে একটা মোটরসাইকেল ভাড়া করে লেবুর বন ঘুরে তিন নদীর মোহনায় সূর্যাস্ত দেখবেন। পরদিন খুব ভোরে (সূর্য উঠার আগে) বের হয়ে পড়ুন। আগে থেকে ঠিক করে রাখা মোটরসাইকেলে চলে যান গংগামতির চর। সূর্যোদয় ও লাল কাকড়ার চর থেকে ফেরার পথে রাখাইন পল্লী, কুয়ায়াকাটার কুয়া, বৌদ্ধ মন্দির, ২০০ বছরেরর পুরনো নৌকা ইত্যাদি স্পট দেখে হোটেলে ফিরে আসুন। দুপুরের পর চাইলে ফাতরার বন ঘুরে আসতে পারবেন। লঞ্চে ফিরলে বিকেল ৫ টার আগেই পটুয়াখালী লঞ্চ ঘাট থাকতে হবে, সেই ক্ষেত্রে ফাতরার চর আপনাকে বাদ দিতে হবে ভ্রমণ লিস্ট থেকে। অথবা রাতের বাসে ঢাকায়।

১ম দিন: সকালে হোটেলে চেক ইন। দুপুরে সমুদ্র স্নান করে খাওয়া দাওয়া। দুপুরের পর একটা মোটরসাইকেল ভাড়া করবেন ৬০০-৮০০ টাকায়। কুয়াকাটাতে দেখার মত জায়গা আছে প্রায় বিশটি। সব জায়গা দেখতে ৮০০ টাকার মত লাগবে, ১২টি জায়গার জন্য ৪০০ থেকে ৫০০ এবং বাকি ৮টি জায়গার জন্য ৩০০ টাকা লাগবে। আর বাইকওয়ালারা বেশি টাকা চাইতে পারে তাই দরদাম করে নিন। বিকালে লেবুর বন, তিন নদির মোহনায় সুর্যাস্ত দেখবেন।

২য় দিন: খুব ভোরে ৪:৩০ ঐ মোটরসাইকেলওয়ালাই আপনাকে নিয়ে যাবে গংগামতির চর। সুর্য্যদয়, লাল কাকড়ার চর দেখে ফেরার পথে রাখাইন পল্লি, মার্কেট, কুয়া, বৌদ্ধ মন্দির, ২০০ বছরের পুরাতন নৌকা দেখে হোটেলে ফিরবেন। দুপুরে খাবার পর ফাতরার বনে ঘুরে আস্তে পারেন। রাতের গাড়িতে ফিরবেন। লঞ্চে ফিরতে চাইলে অবশ্যইই বিকাল ৫:০০ টার আগে পটুয়াখালি লঞ্চঘাট থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে ঐ দিন ফাত্রার বন প্লান থেকে বাদ দিতে হবে।
চাইলে বরিশাল হয়েও লঞ্চে ফিরতে পারেন। বরিশাল থেকে ঢাকার শেষ লঞ্চ ছাড়ে রাত ৯:০০ টায়।

কুয়াকাটা ভ্রমণ খরচ
কোন জায়গার ভ্রমণ খরচ নির্দিষ্ট করে বলার উপায় নেই। খরচ নির্ভর করবে অনেক গুলো বিষয়ের উপর। কোন সময় যাচ্ছেন, কিভাবে যাবেন, কেমন মানের হোটেলে থাকবেন, কিরকম খাবার খাবেন এবং এমন অনেক আনুষঙ্গিক বিষয়ের উপর। কুয়াকাটা ভ্রমণের খরচ সম্পর্কে ধারণা পেতে নিচের খরচের তালিকা দেখে নিতে পারেন।

ঢাকা – পটুয়াখালী লঞ্চে : ডেক ৩০০ টাকা, কেবিন ১০০০/২০০০ টাকা।
পটুয়াখালী – কুয়াকাটা বাসে : ১৪০ টাকা।
ঢাকা – কুয়াকাটা বাসে : ৬৫০ টাকা (নন-এসি), ১০০০ টাকা (এসি)।
কুয়াকাটা হোটেল : মোটামুটি মানের হোটেল ভাড়া সিঙ্গেল – ১০০০, ডাবল ১৫০০ টাকা।
মোটরসাইকেল ভাড়া : দুজনের জন্যে, দুই দিন ৬০০-৮০০ টাকা।
সকালের খাবার : দুই দিন দুই বেলা, জনপ্রতি ১০০-২০০ টাকা।
দুপুরের খাবার : দুই দিন দুই বেলা, জনপ্রতি ৩০০-৪০০ টাঁকা।
রাতের খাবার : দুই দিনের রাতের খাবার, জনপ্রতি ৩০০-৪০০ টাকা।
অন্যান্য খরচ : ৫০০ টাকা।

Comments